খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ মাঘ, ১৪৩১ | ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  আজ থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে বাড়ল ১ টাকা

আটকের পর যুবদল নেতার মৃত্যু নিয়ে ধোয়াশা কাটছে না

গেজেট ডেস্ক

কুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।

তৌহিদুর রহমান আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের পাঁচথুবী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক।

তৌহিদের ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার বাবা চার দিন আগে মারা গেছে। আমরা শোকে আচ্ছন্ন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি আমাদের বাড়িতে আসে। তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে— এমন অভিযোগে তাকে ধরে নিয়ে যায়। আমার ভাই কখনই অস্ত্র আনতে পারে না। তার সম্পর্কে আমাদের পুরো এলাকা খুব ভালো করে জানে। আমরা বারবার বলার পরেও তারা নিয়ে যায় আমার ভাইকে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাদের জানায়, তাকে গোমতী পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থান থেকে তারা উদ্ধার করেছে। সে নাকি হাসপাতালে আছে। আমরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার লাশ। তার শরীরের বেদম মারের আঘাতের চিহ্ন।

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, তৌহিদুল চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করতেন। গত রোববার তাঁর বাবা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তিনি বাড়ি আসেন। আজ বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল। তৌহিদুলের মা প্রায় ২০ বছর আগে মারা গেছেন। সংসারে তাঁর স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান রয়েছে।

তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কেন আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হলো। আমার চারটা ছোট মেয়ে এতিম হলো। আমি ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করছি। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ বলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তৌহিদুল ইসলামকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে দেখা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, তাঁর লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। কীভাবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে আমরা বিস্তারিত জানাব।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু বলেন, তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত রয়েছে। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, আজ রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি, কোনো অভিযোগও আসেনি।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!